গ্রাম চৌকিদারী আইন (ভিলেজ চৌকিদারী এ্যাক্ট) ১৮৭০
১৮৭০ খৃষ্টাব্দে লর্ড মেয়োরের সময়ে চৌকিদারী আইন পাশ হয়। এ আইনের আওতায় পাঁচ-সদস্য বিশিষ্ট পঞাচায়েত নিযুক্ত করা হয়। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পঞ্চায়েত নিযুক্তি করতেন। নিয়োগকৃত কোন পঞ্চায়েত সদস্যপদ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ৫০.০০ টাকা জরিমানা করা হত। পঞ্চায়েতগণ ট্যাক্স আদায় করে তা দিয়ে চৌকিদারদের বেতন পরিশোধ করতেন। সর্বনিম্ন ট্যাক্সের হার ছিল ছয় আনা। কোন পর্যায়ে চৌকিদারদের বেতন পরিশোধ কোন পঞ্চায়েতের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে তার ব্যাক্তিগত সম্পত্তি ক্রোকের মাধ্যমে চৌকিদারদের বেতন পরিশোধ করার বিধান ছিল। তবে এই পঞ্চায়েতদের কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা এবং ব্যর্থতাও ছিল যেমন,
(ক) পঞ্চায়েতের সদস্যরা ছিলেন মনোনীত। তারা জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না বিধায় জনপ্রতিনিধিত্ব সম্পূর্ণ অনুপস্থিত থাকত।
(খ) তারা ট্যাক্স আদায় ও তহবিল সৃষ্টি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক সময় যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারেননি।
(গ) অনেক সময় চৌকিদাররা নিয়মিত বেতন পেতেন না।
(ঘ) সমাজকল্যাণমূলক কোন কাজের দায়িত্ব পঞ্চায়েতের ছিল না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস