Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
ফুটবল
বিস্তারিত

       বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গগত জামালপুর মহকুমায় সর্ব প্রথম ফুটবলের সূত্রপাত ঘটে। ১৮২৬ সালের শেষের দিকে তৎকালীর শেরপুরের পরগনায় টিপু পাগলের বিদ্রোহ দমন করার জন্য সৈন্য প্রেরিত হয় এবং তাদের মাধ্যমেই সর্ব প্রথম ফুটবলের অনুপ্রেরণা আসে। যতটুকু যানা যায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নালিতাবাড়ী থানার বরুয়াজানী কাকরকান্দি গ্রামে সর্ব প্রথম ফুটবল খেলার প্রচলন হয়েছিল। ১৯২৭ সনে নালিতাবাড়ী সদরে ‘হাস্টার্স ইলেভেন’ নামে একটি ক্লাব গঠিত হয় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করে। নালিতাবাড়ী থানার ক্রীড়াঙ্গনে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে কাকরকান্দি ইউনিয়নের কৃতি খেলোয়ার বৃন্দ। ১৯২৫ সনে সুনামগঞ্জের ধর্ম সেবক সাঙ্গীন সাংমা ধর্ম প্রচারে গারো অধ্যুষিত এলাকা কাকরকান্দি গ্রামে আসেন এবং তিনিই সর্ব প্রথম উক্ত এলাকায় মাঠ প্রতিষ্ঠা করে ফুটবল খেলার প্রচলন করেন। তখন মাঠে বিচ্ছিন্নভাবে খেলাধুলা হতো। সবার আগ্রহে এক সময় সর্ব প্রথম ‘কচ্ছপ ক্লাব’ নামে একটি ক্লাব গঠিত হয় এবং খেলোয়ার ছিলেন কল্যান চন্দ্র রাকসাম, সুগেন রাকসাম, আয়েত আলী ভূঞা, অগ্নিশ্বর, যুগেশ, যুগেন, পেন্সিল, রিছিল, রাথ রাকসাম, মাথ সাংমা, যুগেন্দ্র ও সুরেন রাকসাম। উক্ত দলে একমাত্র আয়েত আলী ভূঞা ছিলেন মুসলমান খেলোয়ার আর বাকী সবাই ছিলেন গারো।

 

        ১৯৫৭ সনে পকিস্তানের করাচী থেকে আগত আগা খান কাপ বিজয়ী ‘কিয়ামারী স্পোটিং ক্লাব’ জামালপুরে খেলতে আসে এবং এই শক্তিশালী দলের সঙ্গে কচ্ছপ ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে এবং ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে রানার্স আপ হয়। উল্লেখ্য করাচী দলের সবার পায়ে বুট পরিহিত ছিল আর কচ্ছপ দলের সবাই খালি পায়ে অংশ গ্রহন করে।

 

         পরবর্তী সময়ে কাকরকান্দি মাঠে ফুটবল খেলায় যাদের নাম স্মরণযোগ্য তারা হলেন প্রত্যেশ রাকসাম, ছিদাম মড়ল, মফিজ তালুকদার, সামাদ ভূঞা প্রমুখ। এরও পরে ফুটবলে যাদের কৃতিত্ত্ব বহন করে এবং দৃষ্টি কাড়ে তন্মধ্যে পিযুস কান্তি রিছিল, মহেন্দ্র, মিখাইল ও ফারাং উল্লেখযোগ্য।

 

            সারা বিশ্বে ফুটবল আজ একটি জনপ্রিয় খেলা। যার পরিধি কাকরকান্দি মাঠেও লক্ষ্যণীয়। প্রতিবছর শহীদ মোফাজ্জল স্মৃতি মোফাজ্জল স্মৃতি সংঘ ও কাকারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন টুর্ণামেন্টের আসর বসে। জয় করে নেয় কোন দল কাংক্ষিত ট্রপ এবং তুমুল আনন্দ ধ্বনির মাঝে তৃপ্তি পায় হাজারো দর্শক।